বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে প্রথম অনুষ্ঠিত হবে উইন্টার কার্নিভাল

23rd January 2020 বর্ধমান
বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে প্রথম অনুষ্ঠিত হবে উইন্টার কার্নিভাল


সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের নিয়ে এবার মিলন মেলার উদ্যোগ নিল রাজ্য কারা দপ্তর। আগামী ২৫ ও ২৬ জানুয়ারী বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে প্রথম অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই মিলন মেলা। বৃহস্পতিবার বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার পরিদর্শন করতে এসে একথা জানিয়ে গেলেন রাজ্য কারা দপ্তরের বর্ধমান রেঞ্জের ডিআইজি নবীন কুমার সাহা। তিনি জানিয়েছেন, বন্দীদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবে গতবছর থেকে শুরু হয়েছে সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের নিয়ে নানান অনুষ্ঠানের। প্রথমবার কলকাতার প্রেসিডেন্সী সংশোধনাগারের পর এবার জেলায় জেলায় এই কর্মসূচী ছড়িয়ে দেবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই কর্মসূচী অনুযায়ী এবার বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার এবং এরপর জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মেলা। তিনি জানিয়েছেন, মেলা উপলক্ষ্যে থাকছে ১০টি স্টল। স্টলে থাকবে বন্দীদের নিজেদের হাতে তৈরী বিভিন্ন দ্রব্য। বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দীদের তৈরী মধুবনী শাড়ি, থাকছে বন্দীদের হাতে তৈরী টেরাকোটার গহনা, ফ্যাশন ব্যাগ, কুকিজ, সর্ষের তেল, গামছা, মুড়ি, আসবাবপত্র প্রভৃতিও। থাকছে বন্দীদের হাতে তৈরী বিভিন্ন খাবারের স্টলও। খোলামেলা এই মেলায় সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার থাকছে অবাধ। দুপুর ৩টে থেকে রাত্রি প্রায় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে। নবীনবাবু জানিয়েছেন, বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দিদের গান শোনাবার জন্য আসছেন দুই খ্যাতনামা শিল্পী অর্ঘ্য দত্ত এবং ইলা বিশ্বাস।  মেলায় বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সাজাপ্রাপ্ত প্রায় ৬১ জন বন্দীদের সাঁওতাল ডান্স, সহ দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দিরা পরিবেশন করবেন মহুয়া সুন্দরী নামে একটি বাউল গান আশ্রিত নাটক। থাকছে বিভিন্ন বন্দিদের মার্শাল আর্ট প্রদর্শনী, মেদিনীপুরের বন্দিদের ছৌ না,আলিপুরদুয়ারের নারী শক্তির উদ্যোগে নাটক প্রভৃতি। তিনি জানিয়েছেন, মোট প্রায় ১১০জন বন্দী এই মেলায় অংশ নিচ্ছেন। 

           ছবি - পিন্টু প‍্যাটেল





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।